top of page
  • Mahua Ghosal

স্কুল শুরু হয় নি মৃৎশিল্পীরা চিন্তায় বিক্রি হবে কি বাগদেবীর মুর্ত্তি


মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

স্কুল চালু হয় নি । ক্লাবগুলিও খুব একটা উৎসাহী নয় এবারে বাগদেবীর আরাধনায় । স্কুল ছিল বাগদেবীর মুর্ত্তি কেনার বড় ক্রেতা । তবু ঝুঁকি নিয়ে অর্ডার ছাড়াই মুর্ত্তি গড়েছেন মৃৎশিল্পীরা । বোইদ্যনাথ কর আর তার স্ত্রী বকুল কর এলাকার নামকরা মৃৎশিল্পী । স্বামীস্ত্রী দুজনে মিলে দেবদেবীর মুর্ত্তী গড়ে বিক্রি করেন । বকুল দেবি মুর্ত্তী গড়তে পুরোদমে সাহায্য করেন স্বামীকে । গতবছর এরা ৪৫ টি মুর্ত্তী গড়েছিলেন । কিন্তু এবার মুর্ত্তী গড়েছেন ২৫ টি । এই ২৫ মুর্ত্তীর মধ্যে মাত্র ৩ টি অর্ডারের রয়েছে বাকি ২২ টি এখন অনিশ্চিত । আদৌ কতগুলি মুর্ত্তী বিক্রি হবে তাই নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন স্বামীস্ত্রী । বৈদ্যনাথ কর বলেন গতবারের থেকে এবার চাহিদা কম তাই কম মুর্ত্তী গড়েছি কিন্তু তাও বিক্রি হবে কিনা জানিনা । যদি বিক্রি না হয় তবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা এমনটাই বলছেন তিনি । বকুল কর বলেন এতদিন স্কুল ছিল তাদের প্রধান ক্রেতা । স্কুল থেকে অর্ডার থাকতো তাই চিন্তা থাকতো না কিন্তু এবার স্কুল খোলে নি তাই চিন্তা বাড়ছে আদৌ এতগুলি মুর্ত্তী বিক্রি না হলে কি করে ক্ষতি সামাল দেব । বকুল দেবী বলেন স্কুল চালু হয় নি কিন্তু যদি স্কুলের পুজো হয় তাই ভেবেই মুর্ত্তী গড়ার ঝুঁকি নিয়েছি ।বকুল দেবীর কথায় স্কুল যদি বাগদেবীর আরাধনা এবার মুর্ত্তী ছাড়াই করে তবে তাদের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে । বকুল দেবীদের মতো মৃৎশিল্পীরা এখন ভরসায় রয়েছেন স্কুলের উপরে ।

গৌতম পন্ডিত বলেন ক্লাবগুলিই ছিল তার প্রধান ক্রেতা । কিন্তু এবার ক্লাবগুলিও খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না বড় মুর্ত্তি আনার বিষয়ে । ফলে এবার আর খুব বড় মুর্ত্তির চাহিদা সেভাবে নেই আর তাই লাভের অঙ্কও কম থাকবে বলে জানাচ্ছেন এই মৃৎ শিল্পী ।

দুর্গাপুর জুড়ে চলছে মৃৎশিল্পীদের কাজ তবে ২১তে এখনো সেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসায় বাগদেবীর মুর্ত্তি বিক্রি কত হবে তা নিয়ে চিন্তায় মৃতশিল্পীরা । স্কুল খুললে এই চিন্তা থাকতো না বলেই জানাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা ।

30 views0 comments
bottom of page