top of page
  • Mahua Ghosal

আমলাজোড়া স্কুলে চাকরি গেল শিক্ষিকার আদালতের নির্দেশে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য


মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর ১৩ মার্চ ২০২৩

কাঁকসা ব্লকের আমলাজোড়া স্কুলের শিক্ষিকা মিতালি চট্টোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষিকার চাকরি গেল আদালতের নির্দেশে । স্কুলে এই মাসের প্রথম দিকেই একটি তালিকা শিক্ষা দপ্তর থেকে পাঠানো হয় আর সেই তালিকায় নাম থাকে আমলাজোড়া স্কুলের শিক্ষিকা মিতালি চট্টোপাধ্যায়ের । এরপরেই ব্যাপক আলোড়ন পরে যায় স্কুলে । তালিকা আসার পর থেকে এই শিক্ষিকা আর স্কুলে আসেন নি বলেই জানা যাচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ চক্রবর্তীর কাছ থেকে । ২০১৯ সালে শিক্ষিকা মিতালি চট্টোপাধ্যায় চাকরি পান । তিনি ইংরাজির শিক্ষিকা ছিলেন । জানা গিয়েছে তিনি বর্তমানে দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা । শিক্ষাদপ্তর থেকে এই মাসের প্রথম দিকেই তালিকা আসে । এরপর থেকেই স্কুলে আর আসেন না এই শিক্ষিকা । কার্যত এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে । এই চাকরি দুর্নীতি কান্ডে বেশ বেকায়দায় তৃণমুল । কাঁকসা ব্লকেও একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি যাওয়ার তালিকায় নাম রয়েছে । এদিকে এর কূপ্রভাব পড়ছে পড়ুয়াদের মধ্যে বলে করছেন বহু অভিভাবক । চাকরি দুর্নীতি পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমুলের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামিয়ে দেবে বলেই মনে করছেন একাধিক তৃণমুল নেতা । প্রকাশ্যে তারা মুখ না খুললেও তারা একান্তে বলছেন এ নিয়ে দল যদি কড়া ব্যবস্থা না নেয় তবে পঞ্চায়েত ভোটে খবই খারাপ ফল হবে । দুর্গাপুরের এক জেলা নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন নগর নিগমে অনেক স্বজ্জন ব্যক্তিকে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা নেতিবাচক উত্তর দিচ্ছেন শুধুমাত্র চাকরি দুর্নীতি কান্ডের জেরে ।আমলাজোড়া স্কুলের এক অভিভাবক বলেন এখন ভুগছে পড়ুয়ারা । কে নেবে এই শিক্ষিকার ক্লাস এবং আদৌ কি নতুন নিয়োগ হয়ে শুন্যস্থান পূরণ হবে । এদিকে আমলাজোড়া অঞ্চলের দাপুটে সিপিএম নেতা জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন চাকরি যার গিয়েছে সেতো শাস্তি পেল কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে যে বা যারা এই চাকরি বিক্রি করেছে তাদের ধরার ব্যবস্থা কে করবে এবং তাদের গ্রেফতার করা হবে না কেন ? স্থানীয় কোন তৃণমুল নেতা বা এজেন্ট টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে তার তদন্ত করে গ্রেফতার করতে হবে সিবিআইকে ।

প্রশ্ন উঠছে যাদের চাকরি গিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন বা তাদের জেরা করে চাকরিদাতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না । নিচুতলার এজেন্টরা বেঁচে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকেই ।

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর এর মাঝে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ড চরম বিপদে ফেলেছে তৃণমুলকে । মিতালি চট্টোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করা যায় নি বলে তার মতামত পাওয়া যায় নি ।

32 views0 comments
bottom of page