top of page
  • Mahua Ghosal

ভোট করাতে ব্যর্থ শাসকদল নিচুতলার কর্মীরা দায় চাপাচ্ছে সংগঠনের দুর্বল নেতাদের উপরে


মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর ১৫ মার্চ ২০২৩

নগর নিগম ভোট করাতে ব্যর্থ শাসকদল । প্রশাসক বোর্ড বসিয়ে চালানো হচ্ছে নগর নিগম । এ নিয়ে শাসকদলের নিচুতলার কর্মীদের অন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ । বিধাননগর । অভিজাত এলাকা । আড্ডার জমি দখল করে চলছে চায়ের দোকান । এলাকায় এটি তৃণমুলের ছোটবড় নেতাদের আড্ডার ঠেক বলেই পরিচিত । সেই চায়ের ঠেকেই এক দাপুটে পাড়া নেতা বলেন বড় নেতা মন্ত্রীদের তো আর পাড়ার মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না , তাদের করতে হয় , নগর নিগম ভোট না করানোয় সাধারন মানুষ বিরক্ত । এদিকে সিপিএম এবং বিজেপি ভোট দ্রুত করানোর জন্য পথে নেমেছে । সিপিএম কার্যত উঠেপড়ে লেগেছে দ্রুত ভোট করানোর জন্য । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হাওয়া গরম থাকতেই নগর নিগম ভোট চাইছে সিপিএম তাই তারা প্রতিদিন নানান কর্মসুচী নিচ্ছে তবে বিজেপি অনেকটাই পিছনে রয়েছে এক্ষেত্রে । বিজেপির অন্দরমহলের সুত্রে জানা গিয়েছে সিপিএম কোন সুযোগ পাক তা বিজেপি হতে দেবে না তাই মিডিয়ায় ভেসে থাকার জন্য সিপিএম চমক দেখানো পথে গেলেও তারা জনমত গঠন করছে চুপচাপ ।বিজেপির অন্দর মহলের সুত্রে জানা গিয়েছে বিজেপির নীতি চুপচাপ পদ্মে ছাপ ।

হাউজিং কলোনি ।এক দাপুটে নেতার ঠেক এখানেই । দাপুটে নেতা সিটিসেন্টার গিয়েছেন আর ঠেকে রয়েছেন তার অনুগামীরা । অনুগামীদের সামনে এই আলোচনা রাখতেই তাদের কথায় ভোট করানোতে ব্যর্থ দলের নেতৃত্ব , যত দেরি করা হবে ততই তৃণমুলের বিরুদ্ধে যাবে জনমত । এদের কথায় নগর নিগমের দায়িত্ব এমন একটা টিমের উপরে দেওয়া হল যার ফলে চার বছর শুধু নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে করতে পার করে দিলেন মেয়র আর মেয়র পারিষদেরা , তার পরে একবছর কোন পরিকল্পনা করা হল না বা বলা চলে রাজ্য নেতৃত্ব কিম্বা মুখ্যমন্ত্রীর সবচেয়ে কাছের লোক কোন রুপরেখা আঁকলেন না , চলতে থাকলো সবকিছুই এলমেলোভাবে আর তার ফলে ভোট করানোর সাহস দেখাতে পারলোনা সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতারা ।



দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাণকেন্দ্র । এখানে বসে আছেন এক জেলা নেতা । নগর নিগম নিয়ে ভোট করানো নিয়ে প্রশ্ন করতেই জেলা নেতা বলেন এর মধ্যে আমাকে না জোড়ানোই ভালো ।তবে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন নগর নিগমে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা জনগণের মুখ হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারেন নি আর দুর্গাপুরের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মহাশয় সংগঠনের দিকে নজর দেন নি , তার বিধানসভা আসনেই ইস্পাত নগরীর দশটি আসনের মধ্যে নিশ্চিত জয় দুই থেকে তিনটি আসনে হবে বাকিগুলিতে হার হবে মন্ত্রী এব্যাপারে আদৌ কোন গুরুত্ব দেয় নি । এরপরেই জেলা নেতা বলেন আসলে নামেই আমরা জেলা নেতা , কে যে ক্ষমতার কেন্দ্রে রয়েছে তার উৎস খুঁজতে গিয়েই দিন কাবার হয়ে যায় আর আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই ।

কাউন্সিলর ছিলেন তিনি । বড্ড হতাশায় বলেন আমাদের হাতে কিছু ছিল না , নগর নিগমের কান্ডারীই পথে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছেন কিন্তু উচ্চ নেতৃত্ব সেদিকে তাকিয়েও দেখেন নি , তারা কাউয়ন্সিলর ছিলেন আর তারাই দোষী এমনটাই শুনতে হচ্ছে । তৃণমুলের নিচুতলার কর্মীদের একাংশ বলছেন যাদের হাতে সংগঠন আছে তাদের জনপ্রিয়তা নেই শুধুমাত্র গোষ্ঠীবাজী করা ছাড়া , এখন দুর্গাপুরের অভিভাবক আছেন যিনি তিনি কাঁকসায় ঘুরছেন কিন্তু নগর নিগমে ভোট করানোর জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার তা নিচ্ছেন না ।

তৃণমুলের জেলা নেতৃত্ব কেউই কবে ভোট হবে তা বলতে পারছেন না , আর দুর্গাপুরের তৃণমুলের ক্যাপ্টেন যে কে তাই জানে না তৃণমুলের কর্মীরা , তাই এখন এখানে সবাই রাজা , ফল হয়েছে বোর্ড প্রশাসক বসিয়ে নগর নিগম চালানো বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক নেতাই তবে একান্ত আলোচনায় ।

35 views0 comments
bottom of page