top of page
  • Mahua Ghosal

সাগরদিঘির ফলে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস কিন্তু পুরভায় জোট বা আসন সমঝোতা নিয়ে দ্বিধায় কংগ্রেস নেতৃত্ব


মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর ৩ মার্চ ২০২৩

অনেকদিন পরে জয় এল । রাজ্য বিধানসভায় শূন্য এই অপবাদ ঘুচলো । হোক জোট করে জয় তবু তো ঘুচলো শূন্য অপবাদ । অধীরের এককালের গড় থেকে তৃণমুলের হাত থেকে তৃণমুলের বিশাল ব্যবধানে জেতা আসন ছিনিয়ে নেওয়া রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীদের হাঁফ ধরে যাওয়া বুকে একবুক অক্সিজেন এনে দিল সাগরদিঘি । পশ্চিম বর্ধমান শিল্পাঞ্চলে কংগ্রেসের সাইনবোর্ড কিম্বা দলের কার্যালয় দেখা গেলেও কংগ্রেসকে কেউই এখন আর পাত্তা দেয় না । কার্যত কংগ্রেস এখন সাইনবোর্ড সর্বস্ব দলে পরিণত শিল্পাঞ্চলে । পানাগড়ে এখনো রয়েছে কংগ্রেস । আর সাগরদিঘির জয়ে পানাগড়ের কংগ্রেস নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার রাতের দিকে সাগরদিঘির জয় নিয়ে মেতে ওঠেন ,ইন্দিরা গান্ধীর মুর্তির সামনে এসে তারা জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেন ।কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং গুটি কয় কর্মী কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে বাজী ফাটান সাগরদিঘি জয়ের আনন্দে । তবে এক শিশুর হাতে এখনো বিধানসভায় শূন্য থাকা সিপিএমের পতাকা দেখা যায় । কংগ্রেসের এই জয়ের আনন্দকে ভাগ করে নিতে দেখা যায় নি সিপিএমের কোন বড় নেতাকে । তৃণমুল প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস নেতৃত্ব কি সিপিএমের ঘর থেকে পতাকা চেয়ে নিয়ে এসে শিশুর হাত দিয়ে পতাকা তুলিয়েছে । রাজনৈতিক মহলের মতে পশ্চিম বর্ধমানে কংগ্রেস একার শক্তিতে পঞ্চায়েত ভোটে কোন ভুমিকাই নিতে পারবে না সিপিএমের হাত ধরে সিপিএমকে নিজেদের ভোট দেওয়া ছাড়া । তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই মুহুর্তে শিল্পাঞ্চলে এখনো তিন থেকে চার শতাংশ ভোট রয়েছে যা একেবারের ব্র্যান্ডেড কংগ্রেস ভোটার । দুর্গাপুর নগর নিগমে কংগ্রেস কি সাগরদিঘির পথে হেঁটে সিপিএমের সাথে আসন সমঝোতা করে ভোটে লোড়বে নাকি জয় নয় আর একবার নিজের একক ক্ষমতা বাজিয়ে দেখতে এককভাবেই নগর নিগম ভোট যুদ্ধে লড়বে তাই নিয়েই জোর চর্চা চলছে কংগ্রেস মহলে ।, কংগ্রেসের একটি অংশ মনে করছে একটি ওয়ার্ডে কংগ্রেসের একক শক্তিতে ভোট জয় করার ক্ষমতা নেই , কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও ভোট ভাগ হয়ে তৃণমুলের কিম্বা সিপিএমের কোন লাভ বা ক্ষতি হবে না তাই কংগ্রেসের এককভাবে লড়াই উচিৎ । এই অংশের মতে অনেকদিন কংগ্রেস স্থানীয় স্তরের ভোটে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নি এবার একক ক্ষমতা যাচাই করা প্রয়োজন ।, তবে অন্যদিকে অন্য অংশের মতে কংগ্রেসের শক্তি নেই একটি আসন জয় করার একক শক্তিতে কিন্তু সময়ের চাহিদা তৃণমুলকে ক্ষমতা থেকে সরানো তাই সিপিএমের সাথে আসন সমঝোতায় যাওয়া এবং তৃণমুল ও বিজেপিকে হারানোর জন্য যুদ্ধে নামা । নগর নিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দীপঙ্কর লাহা বলেন কংগ্রেস কোন ফ্যাক্টর নয় এখন কোন দলের কাছেই , তাই ওরা কার সাথে থাকলো আর কাকে সমর্থন করলো তা নিয়ে কোন ভাবনার অবকাশ নেই তাদের কাছে , দুর্গাপুরে কংগ্রেস এখন মৃত রয়ে গিয়েছে সাইনবোর্ড ।

বিজেপির চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কংগ্রেস বলে কোন দল আছে নাকি দুর্গাপুরে এটা দুর্গাপুরের বাসিন্দারা ভুলেই গিয়েছে তাই ওদের নিয়ে ভাবনা নেই বিজেপির ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন নগর নিগমে আমরা এককভাবেই লড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি । তবে এখনই কোন সিদ্ধান্ত হয় নি । দলের নির্দেশ , ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”। তিনি কটাক্ষ করে বলেন তৃণমুল দলনেত্রী আদৌ কি ভোট করাবার সাহস দেখাবেন ২০২৩ এ এটাই এখন বড় প্রশ্ন । সাগরদিঘির জ্বালায় তিনি এখন জ্বলছেন , ভয়েই ভোটের পথে যাবেন না বলে মনে হয় ।

8 views0 comments
bottom of page