top of page
  • Mahua Ghosal

সমীক্ষায় উঠে এসেছে দুর্গাপুর ব্যারাজে পরিযায়ী পাখি এবার খুব কম এসেছে


মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর ১ মার্চ ২০২৩

দুর্গাপুর ব্যারাজ । একসময় পরিযায়ী পাখিতে ভর্তি থাকতো । কিন্তু এ বছর আর সেরকম দেখা যায় নি পরিযায়ী পাখিদের । সাধারণত সাইবেরিয়া এবং হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এইসব পরিযায়ী পাখিরা দুর্গাপুর ব্যারাজে আসতো । দুর্গাপুর ব্যারাজে পরিযায়ী পাখীর মধ্যে খুব বেশি আসতো লিটিল স্টান্ট আর ট্রেমিং টান্ট । কিন্তু এবার এদের আর দেখা যায় নি সেভাবে । দুর্গাপুর ব্যারাজে এবার পরিযায়ী পাখী আসা কমে যাওয়ার কারন বেশ কয়েকটি বলেই মনে করছেন বনবিভাগের কর্তারা । একমাস ধরে এ বছর একটি সংস্থা দুর্গাপুর ওয়াইল্ড লাইফ ইনফরমেশন এন্ড নেচার গাইড সোসাইটি বনবিভাগের সাথে মিলিত হয়ে একটি সমীক্ষা চালায় জেলায় কত পরিযায়ী পাখী এসেছে এমনটা জানান ডি এফ ও বুদ্ধদেব মন্ডল । জেলার বিভিন্ন জলাশয়ে এবং ডয়ামে পরিযায়ী পাখী আসার একটি সুপষ্ট ছবি উঠে এসেছে । তবে এই ছবি পরিবেশবিদদের কাছে খুবই ভয়ঙ্কর বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা । পরিবেশেবিদদের মতে দূষণ , চোরাশিকারির উপদ্রব , কচুরিপানায় ভরে যাওয়া জলাশয় , এবং দামোদরের পাশে বিভিন্ন কটেজ গড়ে ওঠাও একটি কারন । সমীক্ষায় উঠে এসেছে দুর্গাপুর ব্যারাজে গত বছর এসেছিল ২০৮৫ তি পরিযায়ী পাখি কিন্তু এবার একেবারে সংখ্যাটা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৮ । তবে এবার নাচন ড্যামে পরিযায়ী পাখি সংখ্যায় গতবারের তুলনায় ১৯২ টি বেশি এসেছে । বেসরকারি সংস্থার কথায় পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ার কারন বারবার ব্যারাজে নির্মাণ কাজ হয় । এছাড়াও চোরাশিকারির উপদ্রব পাখী কম আসার অন্যতম একটি কারন । পাখীর বাসা নষ্ট হয়ে যাওয়াও একটি কারন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া সংস্থাটি । বনদপ্তর দূষণকেও একটি অন্যতম কারন বলে মনে করছেন । শিল্পাঞ্চলে ব্যাপকভাবে জল , বাতাস এবং পরিবেশের দূষণ হওয়ার কারনেই আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে ফলে পরিযায়ী পাখী আসা কমে যাচ্ছে । এদিকে কচুরিপানায় ভরে যাওয়াও একটি কারন তবে সমস্যা দেখা গিয়েছে সব কচুরপানাও পরিস্কার করা যাবে না তাহলে পাখীর খাদ্যের অভাব দেখা দেবে । দুর্গাপুর ব্যারাজে কি আবার আগের মতো পরিযায়ী পাখী আসবে প্রশ্নে বনদপ্তরের একাধিক কর্তা বলেন শিল্প থেকে আসা দুষণ কমাতে হবে , শিকার করা যাবে না , পাখীর বসবাস যোগ্য পরিবেশে আঘাত আনা চলবে না তবেই দুর্গাপুর ব্যারাজ আবার পাখীতে পুর্ণ হবে । স্থানীয়দের একাংশ অবশ্য বলছেন দামোদরের মানা চরে পোস্ত চাষ হয়েছিল ব্যাপকভাবে ফলে সেখানে পাখী শিকার হয় বেশি এটা বনদপ্তরের নজর দেওয়া উচিৎ ।

8 views0 comments
bottom of page